আমরা একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই: নাছিম

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ এ এফ এম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চায়। যিনি জনপ্রিয় তিনিই জিতবেন।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের হেপাটাইটিস বি টিকাদান কর্মসূচিতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস স্ক্রিনিং কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমাদের দলের অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। এ ছাড়া অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। আমরা চাই নির্বাচনটি উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে হোক। এই প্রথম নয় যে তাদের আওয়ামী লীগ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং বৈধ হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। ইহাতে কোন বাধা নাই। আমরা আমাদের দলে কাউকে কাজ করা থেকে বিরত রাখার কথা ভাবিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা 14টি দল ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করছি। এগুলো রাজনৈতিক বিষয়। এই আলোচনার মাধ্যমে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন মেলার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল বা জোট ভাবতে পারে যে তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনে সরকারের সঙ্গে যাবে এবং কেউ কেউ ভাবতে পারে যে তারা যদি সরকারের সঙ্গে না যায় তবে তাদের দলগুলিকে সম্মানজনক জায়গায় মূল্যায়ন করা হবে কি না। এসব ক্ষেত্রে আমরা এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা সব রাজনৈতিক দলকে মর্যাদা দিতে চাই। অন্তত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থক এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্মান করা হয়।

আমরা বিশ্বাস করি, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তাদের ওপর আমাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। শুধুমাত্র জামাত ছাড়া অন্য কোনও নিবন্ধিত দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা নেই। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন। এই পরিবর্তিত বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য সকল পক্ষ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্রীড়ামন্ত্রী আসাদুজ্জমান নূর।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.