সিপিডি তথ্য গোপন করেছে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তথ্য গোপন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যাংকগুলোতে শ্রেণীবদ্ধ ঋণ বা খেলাপি ঋণের হার কমেছে, এমন তথ্য সিপিডি তাদের প্রতিবেদনে চতুরতার সঙ্গে গোপন করেছে। শ্রেণীবদ্ধ ঋণ 2008-2009 সালে 10.5 শতাংশ ছিল, এখন 9.93 শতাংশ। অর্থাৎ আগের তুলনায় ঋণের হার কমেছে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তার নির্বাচনী এলাকায় সিপিডির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্ত্রীর সমালোচনার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা তুলে ধরলে তিনি এ অভিমত পুনরুক্ত করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আমাদের জিডিপি ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন বা অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতির আকার বেড়েছে ৬ গুণ। এটা স্বাভাবিক যে যখন জিডিপি বাড়বে তখন শ্রেণিকৃত বা মন্দ ঋণের আকারও বাড়বে। কিন্তু এটা জিডিপির কোন অংশ, সেটাই মূল বিষয়, যা সিপিডি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি বলেছে, শ্রেণীবদ্ধ ঋণ বেড়েছে। কিন্তু, তারা শুধুমাত্র আকার সম্পর্কে কথা বলেছে, শতাংশ নয়, তারা এটি গোপন রেখেছে। কারণ, শ্রেণিবদ্ধ ঋণের হার কমেছে। এর মানে, তাদের রিপোর্ট বস্তুনিষ্ঠ।’

হাশান মাহমুদ বলেন, ‘সিপিডি ব্যবসায়িক গ্রুপের শ্রেণীবদ্ধ ঋণের কথাও বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে গ্রুপের ঋণ শ্রেণিবদ্ধ নয়। অন্য কথায়, সিপিডি মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।’

আগের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকটি সিপিডি ২০০৭-২০০৮ সালে দেশের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং তখনও শ্রেণিবদ্ধ ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ শতাংশের ওপরে, অর্থাৎ এখনকার চেয়ে বেশি।’

উল্লেখ্য, সোমবার বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি। তাদের বক্তব্য বিশুদ্ধ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.