নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে ৬০ ভরি স্বর্ণ লুট, গ্রেফতার ৭

0

নোয়াখাল প্রতিনিধি/ নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারের নৈশ প্রহরীকে হত্যার পর দুটি স্বর্ণের দোকান থেকে লুট করা ৬০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাত ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে ৬০ ভরি স্বর্ণ, ১৬০ ভরি রৌপ্য ও সাড়ে তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি দেশীয় পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ ও একটি পাইপ জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল ইসলাম।
এর আগে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে ম-মনি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

তবে লুট হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। এদিকে পুলিশ জানায়, দুটি দোকান থেকে মোট ৭২ ভরি স্বর্ণ লুট হয়েছে।

Gold
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে মো. নোমান (৩৫) একই জেলার কমলনগর থানার চর মার্টিন ইউনিয়নের পশ্চিম চর মার্টিন গ্রামের মোরশেদ আলমের বাড়ি। মোরশেদ আলমের ছেলে মো. কমলনগর থানার হাজীহাট ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের ছায়া বাড়ীর সুভাষ চন্দ্র সরকারের ছেলে সুজন হোসেন (২৭), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাদোনা ইউনিয়নের জগজীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে কৃষ্ণ কামাল সরকার (৩২)। শাহাদাত হোসেন (৩২), একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের মুসলিম গ্রামের হাজী গ্রামের মো. সোলেমানের ছেলে। বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর এলাকার মুন্সী বাড়ির মৃত অলি উল্যার ছেলে সাদ্দাম হোসেন জিতু (৩০), সালাউদ্দিন (৩২), কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জৈন্দপুর গ্রামের মৃত মোশারফ বিএসসি বাড়ির ছেলে। শহীদুল্লাহর ছেলে মো. মিজানুর রহমান রনি (৩৬)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে প্রবেশ করে এবং নৈশ প্রহরী ও অন্যান্য পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দুটি দোকান লুটপাট চালানো হয়। এতে বাধা দিলে ডাকাতরা নৈশ প্রহরী শহীদুল্লাহর মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কবিরহাট থানায় হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় মামলা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডাকাতদের বহনকারী পিকআপ ভ্যানের চালক নোমান লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানা এলাকায় লুট করা মালামাল বিক্রির চেষ্টা করছিলেন- এখন পুলিশ নোমানের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। পরে রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে কমলনগর থানার মুন্সিরহাট এলাকা থেকে নোমানকে আটক করে পুলিশ। তার ভাষ্যমতে তারা স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিচিত স্বর্ণ ছিনতাই করে। সুজনকে বিক্রি করতে দাও।

পরে সুজনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে বিক্রিতে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করেছে। সুজন জানান, লুট হওয়া স্বর্ণ কমলনগর থানার চর লরেন্স বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী কৃষ্ণ কামালের কাছে বিক্রি করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে ৬০ ভরি স্বর্ণ ও সুজনের কাছ থেকে ১৬০ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়। মূলত এই ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী মো. শাহাদাত

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.