সাভারে ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে

0

সাভার প্রতিনিধি- সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৌখিক বিরোধের জের ধরে সাজ্জাদ হোসেন নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বক্তারপুর কোটবাড়ি বালি মাট মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ হোসেন (২৩) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার ছাতা মসজিদ এলাকার শাহীন ওরফে নুরা মিয়ার ছেলে। সাভার পৌর এলাকার আড়াপাড়া মহল্লায় কফিল উদ্দিনের বাড়িতে থেকে হেমায়েতপুর এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন।
নিহত সাজ্জাদ প্রায় ছয় বছর আগে রাজাশান এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে করেন। সিদরাতুল মুনতাহা সাফা নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জেরে গত দুই বছর ধরে সাবেক ইলেকট্রিশিয়ান বাপ্পী মিয়ার আশ্রয়ে ভাড়া বাসায় আলাদা বসবাস করছিলেন। এছাড়া বাপ্পি মিয়াসহ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রেদওয়ান মোল্লার অনুসারী হিসেবে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।

নিহতের চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম জানান, সাজ্জাদ একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন। তার বন্ধুদের মাধ্যমে খবর পাই বক্তারপুর কোটবাড়ি বালুর মাঠে কেউ তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাজ্জাদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বাপ্পি মিয়া জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাভার পৌরসভার বক্তারপুর কোটবাড়ি বালুর মাঠে আমাদের পরিচিত জুয়েল, মাসুম, আলামিন, সাজ্জাদসহ কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় জালালের বাবুর্চির ছেলে আলামিন (২৫) ও রাব্বি ওরফে মুর্গী রাব্বি (২২) তাদের দেখে জিজ্ঞেস করে কে তুমি? এ কথা বলার পর রিকশায় থাকা আলামিন ও রাব্বিকে তল্লাশি করে চড় মারেন।

এ সময় ওই দুজনের কাছে একটি ছুরি পাওয়া গেলে আলামিন ও রাব্বি ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। দেড় ঘণ্টা পর ওই এলাকার সারোয়ার ভান্ডারীর ছেলে স্বপন (৩৫) এর নেতৃত্বে আলামিন ও রাব্বিসহ আরও ৬/৭ জন ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাজ্জাদকে ছুরিকাঘাত করে সবাই পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজামান জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.