সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- শাহবাগে বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। কর্মশালার থিম, “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মিডিয়ার ভূমিকা,” মন্ত্রীর ঐক্য ও দায়িত্বের বার্তা দেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করেছে।

মন্ত্রী আরাফাত কোনো আইনের অপব্যবহারের কারণে নিরপরাধ ব্যক্তিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। তিনি এই ধরনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং সকল নাগরিককে এই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকতায় যোগ্যতা নির্ধারণে সরকারের সম্মতির কথা জানান। পেশাদার সাংবাদিক এবং অপেশাদারদের মধ্যে পার্থক্য করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে আরাফাত অযোগ্য ব্যক্তিদের প্রবেশের কারণে সাংবাদিকতা সম্প্রদায়ের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি স্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আওয়াজ তুলে তাদের দাবিগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।

ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে তথ্যের লড়াইয়ের কথা স্বীকার করে আরাফাত সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভুল তথ্যের বিস্তার রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের ইতিহাস বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য অপপ্রচার ও মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম এস আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এবং সম্প্রচার হুমায়ুন কবির খোন্দকার। বিসিএস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই কর্মশালায় বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য মন্ত্রী আরাফাতের আহ্বান সকল নাগরিককে তাদের অধিকার রক্ষায় সতর্ক থাকার জন্য একটি অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে। এটা অপরিহার্য যে ব্যক্তি, তাদের পেশা নির্বিশেষে, সকল আইনের ন্যায্য ও ন্যায্য প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য একত্রিত হওয়া। ঐক্য এবং নিরন্তর সতর্কতার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ ও সচেতন সমাজ গড়ে তুলতে পারে যা ন্যায়বিচারের নীতিকে সমুন্নত রাখে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.