ইসলামী আন্দোলন জানতে চায় প্রধানমন্ত্রী হিজড়ার পক্ষে নাকি বিপক্ষে

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করা উচিত তিনি হিজড়ার পক্ষে নাকি বিপক্ষে। ৯২% মুসলিম যারা হিজড়াদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাদের পরিচয় তুলে ধরতে হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ‘শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন ও হিজড়া প্রবর্তন’-এর বিরুদ্ধে পূর্ব-বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুক্রবার (26 জানুয়ারি)।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় হিজড়ার নামে সমকামিতার প্রচার করছে। আসিফ মাহতাব স্যার সমকামিতার বিরোধিতা করার জন্য ব্র্যাক থেকে বরখাস্ত।

তিনি তাকে পুনর্বহাল করার দাবি জানান, অন্যথায় ব্র্যাকের সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করা হবে। স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সারওয়ার স্যারকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ধরনের মূল্যস্ফীতি মেনে নেওয়া হবে না।

শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েব আমীর বলেন, এদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত শিক্ষা কারিকুলামে মুসলমানদের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবু বকর (রাঃ) এর ইতিহাস ছিল, ওমর (রাঃ) এর ইতিহাস ছিল। ডক্টর শহীদুল্লাহর হাজারো গল্প ছিল। কিন্তু, এগুলো আজ বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তারা (ভারত) জানে কাঁটাতারের বেড়া বড় সীমান্ত নয়, মুসলমানরাই এদেশের বড় সীমান্ত। এদেশের মুসলমানদের ধ্বংস করতে পারলে কাঁটাতারের বেড়া থাকবে না। বাংলার ওপারের বাংলা এক হয়ে যাবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলাম থেকে বিমুখ হয়ে নাস্তিক জাতি গঠনের কাজ করা হচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ আরো বক্তব্য রাখেন- দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মো. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান। , মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডাঃ শহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান সরকার, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, কে এম শরীয়তুল্লাহ, মুফতি মাছুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, হাফেজুল হক ফায়াজ, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, মাঈদুল ইসলাম সিদ্দিকী প্রমুখ। , কাওছার মাহমুদ প্রমুখ।

সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, বিজিবি হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিক্রিয়ার অভাব প্রমাণ করে বিজিবি সদস্যদের পোশাক, বুট ও রাইফেল আছে; সাহস নেই, রক্ত নেই, মানবতা নেই।

হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা মানুষকে পশু বানানোর কাজ করছে। আমরা আশা করেছিলাম, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার অসঙ্গতি নিয়ে বক্তব্য দেবে। কিন্তু, সরকার তা করেনি।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা চালু হলে ১৫ বছর পর দেশে শিক্ষিত মানুষ থাকবে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৫০ জন প্রার্থীর মধ্যে একজনও পাস করতে পারেনি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করা হয়েছে।

তিনি বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে ধর্মীয় বুদ্ধিজীবী ও হক্কানী উলামাদের পরামর্শ নিয়ে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়নের দাবি জানান।

অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বর্তমান সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিরোধী দল ছাড়া কার্যকর সংসদ হয় না। সরকারও শক্তিশালী নয়। জনগণ ভোটাধিকার বঞ্চিত। এ কারণে দেশে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক সংকট চলছে।

পরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.