শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

0

লাষ্টনিউজ২৪/-  শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে 1971 সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার (14 ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন স্তরের মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন।

সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আসছে।

যাঁরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, তাঁদের অধিকাংশই শোকের প্রতীক হিসেবে কালো পোশাক পরে এসেছেন। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং ফুল ধরে থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে 7ঃ05 a.m. রাষ্ট্রপতি মো. সন্ধ্যা 7টা 6 মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর স্মৃতিসৌধটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ মিছিলে যোগ দেন। বিভিন্ন দলের নেতারা এই মিছিলে অংশ নেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপশ বলেন, রাজাকার আল-বদর 1971 সালের 14 ডিসেম্বর দেশের প্রতিভাবান শিশুদের পদ্ধতিগতভাবে হত্যা করে। তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হতে দেওয়া যাবে না।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নুরুল হুদা বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী বলতে আমরা কে? যাঁরা শুধু স্কুল-কলেজে পড়িয়েছেন, নাকি যাঁরা সাংবাদিকতা করেছেন? কিন্তু গ্রাম পর্যায়েও অনেক বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তাঁদের লেখা ও অবদান জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। বাংলা অ্যাকাডেমি সেটা করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাঁদের উপলব্ধি করা উচিত যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন ছিল।

“” “এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমরা আজ এখানে সেই সোনার বাংলা নির্মাণের জন্য পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।” যতদিন অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন আমরা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে এখানে আসব। ঢাবির উপাচার্য যোগ করেছেন।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.