ধানের আশানুরূপ ফলন ও দাম না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট কৃষকরা

0

ঠাকুরগাও থেকে প্রতিনিধি/-  আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় ও খরার কারণে ফলন নিয়ে শঙ্কিত ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। তবে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে কৃষি বিভাগের পরামর্শে। কিন্তু অল্প ধানের আশানুরূপ ফলন ও দাম না পাওয়ায় কৃষকরা অসন্তুষ্ট।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ধানের ফলন হয়েছে ৭ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন।

উৎপাদিত চাল প্রক্রিয়াজাত করে ৪ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের সর্বনিম্ন বাজার মূল্য এক হাজার টাকা অনুযায়ী জেলায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, মোটা জাতের ধানের ফলন ভালো হলেও বৃষ্টির অভাবে সরু জাতের ধানের ফলন ভালো হয় না। মোটা জাতের ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ, তবে খরচের তুলনায় দাম কম।

লাল মিয়া নামের এক কৃষক জানান, এবার ধানের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। কিন্তু দামের সঙ্গে খরচের তুলনা হয় না। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে প্রায় ১৫-১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবং ফলন হল 20-24 মার্ক।

রমণী বর্মন নামে এক কৃষক বলেন, বর্তমানে ৮০ কেজির বস্তা ধান বিক্রি হচ্ছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায়। ৪-৫ মাস পরিশ্রম করে ধান চাষ করেছি। হিসেব করে দেখা যায়, বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে ৫-৬ হাজার টাকা।

জগদীশ চন্দ্র রায় নামের এক কৃষক জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মেশিন দিয়ে সেচ দিয়ে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে ৩৪ জাতের ধানের ফলন ভালো হয়নি। তবে মোটা ধানের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে।

তারক লাল নামে আরেক কৃষক বলেন, ৩৪ জাতের ধান চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। গতবার এ ধানের বাজার ভালো থাকলেও এবার এ জাতের ধানের দাম ও ফলনও কম। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র 3000 থেকে 3200 টাকায়। গত বছর ছিল ৫-৬ হাজার টাকা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জেলায় আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে। ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সারের দাম কিছুটা বাড়লেও ধানের দাম বেশ ভালো।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.