সাগর আহমেদ/- বাজারে সয়লাবে বিভিন্ন ধরনের চিনি। সবাই দাবি করে এই চিনি খাঁটি, খাঁটি আখ থেকে তৈরি। কেউ কেউ বলেন সব চিনিতেই ভেজাল আছে। কেউ কেউ মনে করেন লাল চিনি আসল চিনি, সাদা চিনি নকল। কেউ কেউ লাল রং দিয়ে সাদা চিনি বিক্রি করছেন। নানা কারণে খাঁটি আখের চিনি কিনতে সমস্যায় পড়েছেন ভোক্তারা।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ঝিল বাংলা সুগার মিল লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মো. নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, যেখানে ভেজাল চিনি দিয়ে এক গ্লাস সিরাপ তৈরি করতে আড়াই চামচ চিনির প্রয়োজন হয়, সেখানে মাত্র এক চামচ খাঁটি চিনিই মিষ্টি তৈরি করতে পারে।
বেতের চিনির রং হবে হালকা লাল। বেশ সাদা নয়, বেশ লাল নয়। আসল আখের চিনি খোলা রাখলে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে লাল-কালো পিঁপড়া এসে ভিড় করে। বাজারে সাদা চিনিতে পিঁপড়ার ভিড় নেই। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, বাজারে এখন অনেক চিনির রং লাল হয়ে গেছে।
এ ধরনের ভেজাল রং মেশানো চিনি চেনার উপায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাত দিয়ে নিলে অনেক সময় আলগা রং দেখা যায়। পানিতে মিশে গেলে পানি মেঘলা হয়ে যাবে। আপনি যদি আখের গন্ধ পান তবে আপনি এটির গন্ধ পাচ্ছেন কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত। বেতের চিনি বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে তা লালচে হয়ে যায়। কিন্তু বাজারের সাদা চিনির রং বদলাবে না।
নাজমুল হুদা আরও বলেন, ভালো চিনি কিনতে চাইলে নির্ধারিত ডিলার পয়েন্ট থেকে কেনা ভালো। বাজারে বেতের চিনি যা আমাদের দ্বারা তৈরি করা হয় প্যাকেটে আমাদের লোগো রয়েছে। লোগো স্বীকৃত হতে হবে।