শেরপুরে ১০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা উদযাপন

0

শেরপুর প্রতিনিধি/-  শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী নবীনগর পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শত বছর ধরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় পার্থক্য ছিল।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের নবীনগর মহল্লার ফসলি মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কোনো ধরনের প্রচারণা ছাড়াই মেলায় ছিল শখের মানুষদের ভিড়। ঠিক কত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল তা কেউ বলতে না পারলেও স্থানীয় প্রবীণ ও গ্রামবাসীরা মনে করেন এটি শত বছরেরও বেশি পুরনো। এবার শেরপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ২৫ অশ্বারোহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছেন। অন্যদিকে গাঙ্গী খেলা, মিউজিক্যাল চেয়ার ও সাইকেল প্রতিযোগিতায় অর্ধশতাধিক খেলোয়াড় অংশ নেয়।

pousmelaমেলায় রয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন উপাদেয় পিঠা, মিষ্টি, সাজসজ্জা, সুস্বাদু খাবার। এ ছাড়া দোকানিরা বিভিন্ন ধরনের শিশুদের খেলনা, মাটির তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র, মহিলাদের প্রসাধনী ও চুড়ি বসিয়েছেন। বেচাকেনাও ভালো চলছে। মেলায় গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার নারী-পুরুষের সমাগম হয়। এদিকে মেলাকে ঘিরে ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েশের উৎসবে মেতেছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এ উৎসবকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা পিঠা খেতে ও মেলা দেখতে প্রতিটি বাড়িতে ভিড় করেন।

এক সময় বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখতে গ্রামের মানুষ ভোরে উঠে হলুদ-সরিষা দিয়ে গোসল করত আর বাড়ির মেয়েরা পিঠা-পায়েস তৈরিতে ব্যস্ত থাকত। অতিথিরা দিনভর আপ্যায়ন করে বিকেলে গ্রামের মেলার মাঠে ছুটে যান। তবে এখন হলুদ সরিষার রেওয়াজ না থাকলেও এখনো অনেক বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও পিঠা উৎসবে যাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মেলা উপলক্ষে জেলার বাইরে অবস্থানরত নারী-পুরুষরা শেরপুরে আসেন। বিবাহিত মেয়েরা এই মেলা উপলক্ষে নয়োরির জন্য বাপের বাড়ি আসে।

এবার মেলা পরিদর্শনে এসেছেন শেরপুর-১ (সদর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এসময় তিনি মেলায় আগত সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.