বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধারণক্ষমতার বাইরে অবৈধ মজুদ ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে দেশের ছয়টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলারদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় ধান কিনে মজুদ করছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের কারবার না করলে আমাদের সঙ্গে বসার দরকার ছিল না। মিলাররা আপনার দিকে আঙুল তুলেছে। মিডিয়াও দায়ী। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই।

তিনি বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো মূল্য সংযোজন করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। এ কারণে তারা বাজার থেকে চড়া দামে ধান কিনতে ব্যস্ত। এমনকি বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান ক্রয় করলেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য খারাপ।

তিনি বলেন, বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড নামে চাল পাওয়া যায়, যার গায়ে এমআরপি লেখা থাকে। আমরা চাই মিল গেটের দামও লেখা হোক। বস্তায় মিল গেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ বা অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়াতে পারেন না খুচরা বিক্রেতারা।

খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কেউ ধান-চাল কিনছে কি না বা অবৈধ মজুদ রয়েছে তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যদি ধারণক্ষমতার বাইরে সঞ্চয় করার চেষ্টা করে, আমি প্রয়োজনে সংরক্ষিত ক্ষমতা পর্যালোচনা করব।

বৈঠকে সিটি গ্রুপ, স্কয়ার, প্রাণ আরএফএল, মেঘনা গ্রুপ, এসিআই এবং আকিজ এসেনশিয়ালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মিল গেটের বস্তায় দাম লিখতে রাজি হন। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সক্ষমতা ও বিক্রয় পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে এবং পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, এফপিএমইউর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.