নির্বাচনের পর চালের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক: প্রধানমন্ত্রী

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- নির্বাচনের পর চালের দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বিচারে চালসহ নিত্যপণ্য মজুদ করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তারা অযথা স্মোকস্ক্রিন তৈরির চেষ্টা করছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো কোনো কথা নেই, কোনো বার্তা নেই, হঠাৎ করেই চালের দাম বেড়েছে, জিনিসের দাম বেড়েছে। আমরা জানি করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তারপরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, তারপরে নিষেধাজ্ঞা-প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞা। শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও ধাক্কা সামলাতে পারছে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গম, চিনি, ভোজ্যতেল, গ্যাস- এগুলো আমাদের কিনতে হবে। কারণ দেশে তাদের যা আছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাদের উচ্চমূল্য, পরিবহন খরচ বেড়েছে, যার কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শুরুতেই বলেছিলাম, নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে। এ বছরও আমাদের ফলন ভালো হয়েছে, ধানের উৎপাদন বেড়েছে। তার পরও হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি এমন ব্যস্ত মৌসুমে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এর পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করা দরকার। শুধু প্রয়োজনই নয়, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতেও করব।’

অবৈধ মজুদকারীদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে দিতে হলে একটা জিনিস মজুদ করতে হয়। তবে সঠিক তদন্ত ছাড়াই যারা অস্বাভাবিকভাবে মজুদ করছে বা মজুদ করছে, আমি তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে তাকে জেলে যেতে হবে। আমরা ভবিষ্যতে একই ব্যবস্থা নেব। এখন থেকে তোমাকে আগে ওই জায়গায় আঘাত করতে হবে।’

ডিমও মজুদ করে রাখা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “এর আগে একের পর এক বস্তা পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা কী ধরনের কথা? মানুষের খাবার নিয়ে খেলার কোনো মানে হয় না। এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই, এই সময়ে জিনিসপত্রের দাম আরও কম।’

তরকারি ও ফলের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “যে কোনো কৃষিপণ্যের দাম বাড়লে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা দাম পেলে খুশি হয়। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। কিন্তু দাম যে পরিবহণ মোট হতে হবে, তার চেয়ে বেশি।এজন্য যারা মজুদ রাখবে তার বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

নির্বাচনের পর নানা চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এ কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। “নির্বাচনের পর আরও কিছু চেষ্টা করা হয়েছে, গার্মেন্টসের মজুরি বাড়ানো হয়েছে, এরপর রাত বারোটায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন, তা ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে এবং এখন নামতে চায়। অন্যভাবে আমি এটা করতে দেব না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা হতে দেওয়া হবে না। আমি এ পর্যন্ত যে উন্নয়ন করেছি তার সুফল যাতে জনগণ পায় সেজন্য চেষ্টা করছি।’

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.