দেশকে সংকটে ফেলে এমন নির্বাচন করতে চায় না নির্বাচন কমিশন

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দেশকে সংকটে ফেলে এমন নির্বাচন করতে চায় না নির্বাচন কমিশন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

৯৬ সালের নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় পরে ওই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়। পরে সেই নির্বাচন বাতিল হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক অপচয় হয়েছে। আমরা এটা আবার ঘটতে চাই না. এই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হোক। তাই আমরা এমন নির্বাচন করতে চাই যাতে পরবর্তীতে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে।

এদেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে আমার মনে হয়, সরকারও চায় একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন।

ভোটের পরিবেশ কেমন হবে- সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি বলতে পারি এখন যে ভোটগ্রহণ চলছে তা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এর আগেও আমরা দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করেছি। আগে দেখুন কি হয়। তাহলে বলা যাবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কি না। তবে আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি। আমাদের কোনো বাধা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

একটি বড় দল নির্বাচনে না আসার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলো নির্বাচনে না আসাটা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা, কিন্তু তাতে ভোট থেমে থাকবে না। . আর কোনোভাবেই ভোট ঠেকানো যাবে না এবং কোনো নাশকতা করা যাবে না। যদি তারা এটা করে তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

রাশেদা সুলতানা আরো বলেন, সব দল নির্বাচনে এলে স্বস্তি হবে। এটি উত্সব ছিল. সম্পন্ন অস্বীকার করার উপায় নেই যে এখন তেমন নেই। রাজনৈতিক বিভাজনের মাধ্যমে পরিস্থিতি কতটা ঘোলাটে হয়েছে। আমাদের কোন দায় নেই।

বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয়। কেউ নির্বাচনে না আসলে তাদের ব্যাপার। তবে ভোটে বাধা দেওয়া অসাংবিধানিক।

রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনের সময় কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন অবস্থাতেই কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা কোনো অনিয়ম মানিনি, ভবিষ্যতেও মেনে নেব না। কোনো অনিয়ম হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রার্থিতা বাতিল হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। এমনকি ভোটের দিন কোনো অনিয়ম হলে প্রয়োজনে ভোট কেন্দ্র বাতিল করা হবে। আপনারা দেখেছেন আমরা গাইবান্ধায় ভোট বাতিল করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের সব অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা করা। পরিবেশের উন্নয়ন এবং সবাই যাতে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের পরিবেশ যতটুকু দেখেছি তাতে মনে হচ্ছে ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা বদ্ধপরিকর। যে কোনো মূল্যে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে চাই।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ইসি রাশেদা বলেন, জনগণ চায় সেনাবাহিনী নামুক। সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে তাদের নামানো হয়েছে। ভোট হবে উৎসবমুখর।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসার বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এজন্য আমরা বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করছি। ভোটাররাই ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটার ছাড়া নির্বাচন হবে নিষ্প্রাণ। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তাতে অনেক ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.