বিশেষ প্রতিনিধি- মোঃ সফিকুল ইসলাম, ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে, পরিবারে বাবা-মা, ছোট বোন, স্ত্রী এবং দুই ছেলে রয়েছে তার। মোঃ সফিকুল ইসলাম ঢাকার মিরপুরেই বড় হয়েছে। এবং আলীম উদ্দিন হাই স্কুলে, আইডিয়াল কমার্স কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তারপর বাংলাদেশ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) এর জন্য অধ্যয়ন শুরু করার পর ২০১০ সালে নিশি সাদিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন।
মোঃ সফিকুল ইসলাম এর দাদা ছিলেন জেলার একজন সফল ব্যবসায়ী। 2001 সালে তিনি মারা গেলে তার বাবাই তাদের পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব নেন। দাদার মৃত্যুর পর, সবাই মিলে একটা বড় পরিবার হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও একে অপরের সাথে সমস্যা এবং দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ায় একসাথে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে।এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় যখন তার মামা, দাদী এবং মা, বোনসহ তাকে আঘাত করা শুরু করে। এমনি একটি ভীতিকর ঘটনার পর, তার বাবা ঝগড়া ফ্যাসাদ থেকে দূরে থাকার জন্য অপর একটি নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
নতুন বাড়িতে গেলেই সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বর্ধিত পরিবারের সাথে শুরু হয়ে যায় আইনি লড়াই। তারা সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা করলেও মামলাটি শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ফলে তার চাচা দাদার সম্পত্তি দখল করে ধনী এবং শক্তিশালী হয়ে যায়। তার চাচা ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ এবং বিভিন্নভাবে শক্তিশালী হওয়ায় আইনী লড়াইয়ের বাইরেও পেশি শক্তি ও বাহুবল প্রয়োগ করতে থাকেন তাদের উপর।
মোঃ সফিকুল ইসলামের বাবার বয়স বাড়ার সাথে সাথে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাচার কাছে সম্পত্তির সমস্যা নিয়ে সাহায্য ও তার বাবার চিকিৎসার জন্য অর্থের যোগান চাইলে তার চাচা সাহায্য করার পরিবর্তে, তাদের উপর আক্রমণ করার জন্য তার নিজস্ব লোকজন পাঠিয়ে বিশৃঙ্খলা ও ভয়ের সৃষ্টি করে।
এক পর্যায়ে মোঃ সফিকুল ইসলামের চাচা তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেয় এবং পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার করিয়ে জেলে পাঠায়। পরবর্তীতে জেল থেকে বের করার জন্য জন্য তার চাচা অনেক টাকা দাবী করলে বন্ধুদের সাহায্যে এবং ফোন ট্রান্সফার সার্ভিসের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু তাতে করেও ভয় এবং হুমকি থেমে নেই। বিভিন্নভাবেই চলতে থাকে ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন।
মোঃ সফিকুল ইসলাম কখনই তার চাচার কাছ থেকে টাকা ধার না করলেও তার চাচা মোঃ সফিকুল ইসলাম এর কাছে কাছে অনেক টাকা পাবেন বলে দাবী করেন এবং বিভিন্ন সময় ফোন করে হুমকি দেয়ায় তারা অনিরাপদ বোধ করছিল। চাচার মিথ্যার কারণেই তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।তার চাচার হুমকি থেকে বাঁচতে তিনি এবং তার পরিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে চলে যান এবং বসবাস করলেও তারা যেখানেই যাকনা কেন, তার চাচার অবৈধ শক্তি সবসময় তাদের খুঁজে বের করে ফেলে ও বিভিন্নভাবে তাদের আক্রমণ এবং হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
বহুবার বিভিন্নস্থানে সরে যাওয়ার পরও চাচার হয়রানি থেমে থাকেনি এবং তারা যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই চ্যালেঞ্জ ও হুমকির মুখোমুখি হয়ে অনিরাপদ ও অজানা ভয়ে ও শংকায় জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। এবং মোঃ সফিকুল ইসলাম তার চাচা এবং চাচার লোকজনের আক্রমনের ফলে তিনি এবং তার স্ত্রী আহত হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন প্রকার সহিংসতা তাদের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসায়ও সমস্যা সৃষ্টি করতে থাকেন তার চাচা।
বিচার দাবী, নিরর্থক প্রচেষ্টা
তার চাচার বিভিন্ন প্রকার অন্যায় অত্যাচার ও হয়রানীর ফলে তারা প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনপ্রকার আইনি সহায়তা পায়নি এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করেনি। ফলে তারা বিভিন্ন প্রকার হয়রানীর ফলে অনিরাপদ জীবন যাপন করে চলেছেন।
এব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও জীবনের নিরাপত্তাসহ পরিবার নিয়ে যাতে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন সেই দাবি ও সহযোগিতা কামনা করেন।