‘মার্কিন শ্রম নীতি পোশাক রপ্তানির জন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে’

0

ষ্টাফ রিপোর্টার/- পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের জন্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের নতুন নীতি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ, আরএমজি এবং ডিসেন্ট ওয়ার্ক শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। এর পেছনের মূল কারণ করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফলে অনেক কিছুর সরবরাহ কমে গেছে, ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানির দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতও রয়েছে।

তিনি বলেন, সদ্য ঘোষিত মার্কিন শ্রমনীতি এবং পোশাক খাতে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার, উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তাদের এই নীতির ফলে কাঁচামাল আমদানি ও পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। শিল্পের বিরুদ্ধে যে কোনও বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা কারখানা বন্ধ করে দেবে এবং মহিলা শ্রমিকদের চাকরি হারাবে। অধিকন্তু, এটি লিঙ্গ সমতার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশের প্রচেষ্টাকে লাইনচ্যুত করবে। তা সমাজে উগ্রবাদ ও উগ্রবাদের জন্ম দেবে। তবে বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, দেশে পোশাক খাতে শ্রমিকদের কাজের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ক্রেতা, বিক্রেতা, আমদানি ও রপ্তানিকারী দেশ, অঞ্চল এবং অংশীদার সকলেরই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দায়িত্ব রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিআইআইএসএস-এর গবেষক মাহাফুজ কবির তৈরি পোশাকের অবস্থা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এএফএম গোসোল আজম।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.