লাষ্টনিউজ২৪/- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আ ক ম মোজাম্মেল হক, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ড. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, মো. হাসান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, আর.এ.এম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আবদুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন।
প্রতিমন্ত্রীরা হলেন- বেগম সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনায়েদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিব্বুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বেগম রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আহসানুল ইসলাম টিটু।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের কাছে ফোন আসে।
এর আগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ফোন দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ নিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যারা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের টেলিফোনে জানানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এরপর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি। শপথ গ্রহণের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অফিস বরাদ্দ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিলে আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠের বিশ্বস্ত সদস্য শেখ হাসিনা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন এবং তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মত হন। সাহাবুদ্দিন। পরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) ধারা অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং এর অধীনে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দিয়েছেন। তার নেতৃত্ব।
এতে আরও বলা হয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয়লাভ করে। একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে ৬২ জন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আ.লীগের নেতা। আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি এবং কল্যাণ পার্টি একটিতে জয়ী হয়েছে। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।