ষ্টাফ রিপোর্টার/- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের প্রহসনে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেশকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করে দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকার ও ক্ষমতাসীন দলগুলো নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের তাগিদে সকল সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ভঙ্গুর ও অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভার প্রথম দিনে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, আসলে একটি ডাকাত মাফিয়া আজ দেশ দখল করে নিয়েছে। ভোটের নামে গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষকে ধারাবাহিকভাবে অপমান করা হয়েছে, সমসাময়িক বিশ্বে এমন উদাহরণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রহসন প্রত্যাখ্যান ও বর্জন করে সরকার ও সরকারি দলের বিরুদ্ধে জনগণ প্রকাশ্যে আনুগত্য দেখিয়েছে। এটা বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক বিজয়।
৭ জানুয়ারির জনগণের অবিশ্বাসের পর সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় সরকারি দলের কোনো রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা নেই। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া এই সরকারকে দীর্ঘায়িত করার কোনো সুযোগ নেই। এখন বিরোধী দলগুলোর প্রধান রাজনৈতিক কর্তব্য এই জনগণের অবিশ্বাসকে রাজপথে গণসংগ্রামের আকারে ছড়িয়ে দেওয়া।
অতীতের আন্দোলনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আন্দোলন পুনর্গঠনে দ্রুত এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকল বিরোধী দল ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহিদুল আলম নান্নু, রশিদা বেগম, এ্যাপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমুখ। নির্মল বড়ুয়া মিলন, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, নিলুফার ইয়াসমিন, আবুল কালাম আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন, কবি জামাল সিকদার প্রমুখ।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে যশোরের শার্শা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য রইসুদ্দিন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে বাংলাদেশ সরকার ও বিজিবি এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় প্রতিবাদ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করে এবং বলা হয়, অনুগত পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যায় না।
সভার শুরুতে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের এবং ইসরায়েলি দখলদারিত্বে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।