ষ্টাফ রিপোর্টার/- ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে তাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সাথে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। হাছান মাহমুদ এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধানকে অনুরোধ করেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে এলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার তুলে দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরে গেছে। সেজন্য আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। আরও 1.5 মিলিয়ন অতিরিক্ত লোক একটি বিশাল স্ট্রেন। আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। এমনকি দুই দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিলেন। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাড়ানো এবং তাদের সঙ্গে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) করার বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. হাসান মাহমুদ।