ষ্টাফ রিপোর্টার/- আজ পবিত্র শবে মেরাজ। এই মেরাজের মাধ্যমেই মুসলমানদের জন্য নামাজ ফরজ করা হয়। এই রাতেই মহানবী (সা.) দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার বিধান নিয়ে আসেন। মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ী, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে মহানবী (সা.) আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ বছর সেই রাতটি পড়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নিজ নিজ বাড়িতে মসজিদে, মসজিদে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজগার ও ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রহমত কামনা করে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের.
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৬২০ খ্রিস্টাব্দে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াতের একাদশ বছরের রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসে ৭০ হাজার আলো প্রেরণ করা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার সাত দিনে হজরত জিব্রিল (আ.)-এর সাথে ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরে ফিলিস্তিন। ঘোমটা পেরিয়ে আরশে আজিম সর্বশক্তিমান আল্লাহর দিদার লাভ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তিনি মহাবিশ্বের সবকিছুর অপার রহস্য অবলোকন করেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ছিল ‘মেরাজ’। সর্বশ্রেষ্ঠ মানব এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ব্যতীত অন্য কোন নবী এই মহান সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি।
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন- “পবিত্র তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে আলোর মাধ্যমে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছিলেন, যে চারপাশকে আমি বরকতময় করেছিলাম, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য। (সূরা: বনী ইসরাইল: 01)
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও মাগফিরাত কামনায় রাতভর মসজিদে-বাড়িতে নামাজে ব্যস্ত থাকবেন মুসল্লিরা।