জাতিসংঘে পাল্টা অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা চায় ইসরাইল

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক – ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কিছু নাটকীয়তা হয়েছে। তারা দুজনেই একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে, একে অপরকে তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু বলছে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য বলছে।

ইসরায়েলের গল্পের দিক
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান বিশেষ জরুরি বৈঠকে ইরানের জন্য কিছু কড়া কথা বলেছেন। তিনি ইরানকে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের শীর্ষ পৃষ্ঠপোষক এবং মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও কিছু বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন।

তিনি মূলত নিরাপত্তা পরিষদকে তাড়াহুড়ো করে এ বিষয়ে কিছু করতে বলেছেন।

আরদান চায় নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করুক এবং সবকিছু হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক।

স্বয়ংক্রিয় খসড়াইরানের গল্পের দিক
অন্যদিকে, জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি ইরানের এই পদক্ষেপকে আত্মরক্ষা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে ইরানকে আগ্রাসনের জবাব দিতে হবে এবং নিরাপত্তা পরিষদ শান্তি বজায় রাখার জন্য তার কাজ করছে না।

ইরাভানি স্পষ্ট করে বলেছেন যে ইরান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ চায় না, তবে প্রয়োজনে তারা নিজেদের রক্ষা করবে। তিনি গাজায় সহিংসতা বন্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউরোপীয় প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একত্রিত হচ্ছেন। তারা কি করতে হবে তা নির্ধারণ করতে আগামী মঙ্গলবার বৈঠক করছেন।

ইইউ পররাষ্ট্র নীতির প্রধান, জোসেপ বেরেল, পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করার জন্য এবং প্রত্যেকে নিরাপদে থাকা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন।

যা বললেন ট্রাম্প
স্বয়ংক্রিয় খসড়াএ নিয়ে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের হামলার পর ইসরায়েলের সমর্থনে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করছেন। ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে তিনি এখনও দায়িত্বে থাকলে ইরান ইসরায়েলে হামলা করার সাহস পেত না।

শুধু তাই আপনারা জানেন, সিরিয়ায় তার কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ইসরায়েলে হামলা চালায়।

সূত্র: এনডিটিভি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.