তহবিলের ওপর আদেশের তাৎক্ষণিক প্রভাব কী হবে, তা স্পষ্ট ছিল না।কারণ অনেক কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যেই কংগ্রেস কর্তৃক তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে, যা হয় বাধ্যতামূলক অথবা ইতিমধ্যেই ব্যয় করা হয়েছে। তার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনে স্বাক্ষরিত বেশ কয়েকটি আদেশের মধ্যে একটি ‘বৈদেশিক সাহায্য এবং আমলাতন্ত্র’, ট্রাম্প এর সমালোচনা করেছেন।
এই আদেশের অধীনে রুবিও বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি মূল্যায়ন করার ক্ষমতা পাবেন। পররাষ্ট্র দপ্তর এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এই ধরনের সাহায্য তত্ত্বাবধানকারী প্রাথমিক সংস্থা হিসেবে রয়ে গেছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে বিদেশি সাহায্যের সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলে দুর্যোগ ত্রাণ, স্বাস্থ্য এবং গণতন্ত্রপন্থী উদ্যোগসহ নানা কর্মসূচির জন্য ৬৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।তবে মার্কিন সাহায্যের প্রধান প্রাপক, যেমন ইসরায়েল (বার্ষিক ৩.৩ বিলিয়ন ডলার ), মিসর (বার্ষিক ১.৫ বিলিয়ন ডলার) এবং জর্দান (বার্ষিক ১.৭ বিলিয়ন ডলার) দীর্ঘস্থায়ী চুক্তির কারণে উল্লেখযোগ্য কাটছাঁটের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে গেছে এবং এ সম্পর্কিত আর্থিক বাধ্যবাধকতা বন্ধ করে দিয়েছে। গত মার্চ মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরিত একটি বিলে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর জন্য মার্কিন অর্থায়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
সূত্র : এপি
- Advertisement -