আন্তর্জাতিক ডেস্ক ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনায় প্রতি বছর ২০ কোটিরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।জাতিসংঘ মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ জলবায়ু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব যেমন প্রবল তাপ, বন্যা ও খরায় মৃত্যুর ঝুঁকি ১৫ গুণ বেশি।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই ওই তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ।আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এই গ্রহটা আমাদের একমাত্র আবাস। কাজেই এর বায়ুমণ্ডলের স্বাস্থ্য, পৃথিবীর বুকে যে প্রচুর জীবন ও তার বৈচিত্র্য, এই গ্রহের বাস্তুতন্ত্র এবং এর সীমিত সম্পদ রক্ষা করা আমাদের জন্য জরুরি। কিন্তু তা করতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি।জাতিসংঘ মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘টেকসই নয় এমন জীবন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে আমরা এই গ্রহ থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি। পৃথিবীর প্রাকৃতিক ব্যবস্থা আমাদের চাহিদা মিটিয়ে যেতে সক্ষম নয়। এটি কেবল পৃথিবীকে আহতই করছে না, আমাদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।গুতেরেস বলেন, ‘মানুষ এবং ১৭টি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সবগুলোর জন্যই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ জরুরি। প্রকৃতি আমাদের খাবার, নিরাপদ পানি, ওষুধ নিশ্চিত করে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে এবং চরম আবহাওয়া থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়। কাজেই সুবিবেচনার মাধ্যমে প্রকৃতি ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতির সেবাগুলো সবার, বিশেষত ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ও সমাজের, সমহারে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা আমাদের জন্য জরুরি।