রবিবার (২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শাপলা চত্বরে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের বর্বরতা এবং বছরের পর বছর ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সব নৃশংসতার নথিভুক্ত করতে হবে।
তার মতে, দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সমস্ত নৃশংসতার যথাযথ নথিভুক্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।এই ডকুমেন্টেশন না হলে সত্য জানা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত কঠিন হবে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী লুইস বলেন, জাতিসংঘ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে এবং বাংলাদেশের জনগণকে এ বিষয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
লুইস প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন যে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক, ৫ মার্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে বাংলাদেশে সংঘটিত জুলাই আগস্ট গণহত্যার ফলাফল প্রকাশ করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থের সংকুলান নিয়ে খুব চিন্তিত। প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন।’
- Advertisement -