আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর হোয়াইট হাউজ সোমবার স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা থাকার যে দাবি উঠেছে, তা পুরোপুরিই মিথ্যা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে একমাত্র বাংলাদেশি জনগণেরই উচিত তাদের সরকারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করা এবং আমরা সেটাই চাই।”
রোববার (১১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কাজ করছে কারণ তারা বঙ্গোপসাগরে আধিপত্য কায়েম করতে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চাইছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।
তবে ওই রাতেই শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) এক পোস্টে দাবি করেন, তার মা কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি আরও বলেন, “দেশ ছাড়ার আগে কিংবা পরে শেখ হাসিনা কোনো ধরনের বিবৃতিও দেননি।”
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে যান। সেইদিন বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তিনি জানান যে, দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে।
৮ আগস্ট নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়, যার মধ্যে ১৭ জন উপদেষ্টা রয়েছেন।