ষ্টাফ রিপোর্টার/- গত ৩০ জুলাই জনস্বাস্থ্য-১ অধিশাখার উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
গাইডলাইনে বলা হয়, শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ ও বাহির পথ পৃথক নির্দিষ্ট করতে হবে। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন স্থানে একসাথে ১৫-২০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না। আগত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমা টিক চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।
সমাবেশে আগত সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করবেন না।
হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
আলোচনা সভা/মিলাদ মাহফিলে যা মানতে হবে জনসমাগম যত সম্ভব কম রাখতে হবে। অনুষ্ঠানস্থল বা কক্ষের আয়তনের ওপর লোকসংখ্যার উপস্থিতি নির্ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আগত সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু অথবা কনুই দিয়ে মুখ নাক ঢাকতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। জরুরি বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রবেশপথের সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানস্থলে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বসার স্থান নির্দিষ্ট করে দিতে হবে।