অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের অভয়নগরে শ্রীধরপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ্ গাজীর ছোট ছেলে শিমুল গাজীকে (৩৫) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে রাখে স্ত্রী পলি বেগম। সোমবার দুপুরে পরিত্যক্ত একটি ঘরের মধ্যে অর্ধগলিত মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নড়াইল জেলার সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের কাইচদাহ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। হত্যার দায় স্বীকার করায় পলি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। আটক পলি বেগম নড়াইল সদর উপজেলার শেখপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম নুরোর মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, গত (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার রাতে নিখোঁজ হয় শিমুল গাজী। নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকাবাসীসহ পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার বড় ভাই ইমরুল গাজী বাদী হয়ে গত (৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর স্ত্রীর নিস্ক্রিয়তা দেখে সন্দেহ দেখা দেয়। সোমবার সকালে নিহত শিমুলের মামাতো ভাই কুদ্দুসুর রহমান ভাইকে খুঁজতে আবারও ঐ বাড়িতে যান। এবং পরিত্যক্ত একটি ঘরের মধ্যে নতুন মাটি খোঁচা দেখতে পান। সন্দেহ বাড়লে শেখহাটি পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে অবহিত করা হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি সরিয়ে শিমুল গাজীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং স্ত্রী পলি বেগমকে একই এলাকা থেকে তাৎক্ষনিক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ের হত্যান্ডের কথা স্বীকার করেন।
আটক স্ত্রী পলি বেগম তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে (২ সেপ্টেম্বর) সোমবার রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে পরিত্যক্ত একটি ঘরের ভিতর গর্ত খুড়ে সেখানে মাটিচাঁপা দিই।
এ ব্যাপারে শেখহাটি পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মাহমুদুল করিম বলেন, সোমবার সকালে নিহতের ভাইসহ এলাকার কিছু লোকজন এসে একটি অভিযোগের কপি দেয়। সেই অভিযোগের সুত্র ধরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিমুল গাজীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।