LastNews24
Online News Paper In Bangladesh

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা উচিত ছিল : ফখরুল

0

বিশেষ প্রতিনিধি সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ‘নিরপেক্ষ কমিশন’ চান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনার পর জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ সোমবার (৬ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ঘটনার জন্য অবিলম্বে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত।এর জন্য যারা দায়ী, তাদের খুঁজে বের করা দরকার। ‘ঘটনার ভয়াবহ বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘কী ভয়াবহ? মানুষের বডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বডি একেবারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গেছে, চেনা যাচ্ছে না। হঠাৎ করে যে বিস্ফোরণ হবে―এটাও তারা বুঝতে পারেনি। যার ফলে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। ‘

এ সময় এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহতদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে দেশের সকল কনটেইনার ডিপোতে তদারকি ব্যবস্থা চালু করার দাবিও জানান তিনি।কেমন তদন্ত কমিশন চান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি কিন্তু এখন পর্যন্ত অতীতের কোনো ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দেখিনি। আমরা যখন নিরপেক্ষ কথাটা বলি, এটা মিন করি (বোঝাই) যে, দলনিরপেক্ষ ও সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, যারা বিশেষজ্ঞ আছেন ও সত্যিকার অর্থে বিষয়গুলো যারা বোঝেন, তাদের দিয়ে তদন্ত করা। অর্থাৎ নিরপেক্ষদের দিয়ে তদন্ত করতে হবে। আমরা চাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত। ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল আর্মির একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কথা টেলিভিশনে শুনছিলাম। তিনি বলছিলেন, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। আজকে আমি এই জায়গায় প্রশ্ন করতে চাই―এই সরকার তাহলে কী করেছে? এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মতো আমাদের প্রয়োজনীয় লোকবল ও উপকরণ নেই কেন?’তথাকথিত অবকাঠামো নির্মাণের নামে নিজেদের পকেট ভারী ও দুর্নীতি করা―এটাই তাদের (সরকার) মূল লক্ষ্য। জনগণের কল্যাণ, নিরাপত্তা ও মানুষকে ভালো রাখার জন্য এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার না, সেই কারণে তাদের জবাবদিহি নেই।তিনি বলেন, ‘এই যে ভয়াবহ ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল সম্পূর্ণভাবে তাদের ব্যর্থতার জন্য। আমি পত্রিকায় দেখলাম যে, প্রধানমন্ত্রী একটু সাহস দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে, পদ্মা ব্রিজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তাতে তো এই সমস্যার (সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ) সমাধান হয় না। ’এই ঘটনার পর জাতীয় শোক ঘোষণা করা উচিত ছিল। অন্যান্য যেকোনো সভ্য দেশ হলে তাই করত। আমেরিকাতে যে বাচ্চাগুলো মেরে ফেলল, তখনই আমেরিকা জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণে দেশের পোশাকশিল্প বা অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অলরেডি এই নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে।

About Author

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More