খেলাধুলা ডেস্কঃ সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে বিকেলে মাঠে নামছে শান্তবাহিনী। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল চারটায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না বাংলাদেশ। টানা সাত আন্তর্জাতিক ম্যাচ হারা শান্ত বাহিনী ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু করেছে হতাশার হারে।বুধবার (৬ নভেম্বর) শারজায় তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচটি কেন হারল তার কাটাছেড়া চলছে এখনো। ম্যাচের বোলিংয়ে এবং ব্যাটিংয়ের শুরুর দিকে দারুণ নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু হঠাৎ এক ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেল বাংলাদেশ। আর সে ঝড়ের নাম আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার। তার ঘূর্ণিতে মাত্র ২৩ রান যোগ করতে শেষ ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হারের সে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দলের ভেতরও। তবে সে স্মৃতি এখন ভুলে থাকতে চায় বাংলাদেশ দল। সিরিজে ফেরার লক্ষ্য নিয়েই আজ মাঠে নামতে চায় টাইগাররা। দলের সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের মতে, এক ম্যাচ হারাতেই সব শেষ হয়ে যায়নি। নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন পূর্বের ফলাফলের উদাহরণ টেনে।শারজাহতে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আপনি দেখেন, আফগানিস্তানের সাথে এর আগে তো আমরা অনেক জিতেছি। ওয়ানডেতেও তো জিতেছি প্রথম ম্যাচে, বিশ্বকাপে। তারপর দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি জিতেছি, এর আগে আমরা সিরিজ জিতেছি বাংলাদেশের মাটিতে। ব্যাপারটা এমন না যে আমরা ওদের সাথে একটা ম্যাচ হেরেছি আর আমাদের সব চলে গেছে। এরকম কোন কিছু না।’মিরাজের মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো দলই ছোট নয়। সুবিধাজনক স্থানে থেকেও প্রথম ওয়ানডেতে হারের জন্য দায় দেখছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও নিজের।মিরাজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটি দলই ভালো মানের। আপনি কখনই কোনো দলকে ছোট বলতে পারবেন না। সুতরাং আমরা যেটা চেষ্টা করছি একটা ম্যাচ আমাদের খারাপ হয়েছে, আমরা হয়তো যেভাবে আশা করেছিলাম উইকেটটা আমাদের সঙ্গে আচরণ করেনি। বলছি এটাই আমরা যারা ব্যাটার ছিলাম, সেট ব্যাটার ছিলাম তাদের দায়িত্বটা নেয়া উচিত ছিল। আমি আর শান্ত, সেটা সবসময় আমি বলেছি।’দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে যে পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। কারণ, আঙুলে আঘাত পাওয়ায় এই সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। স্কোয়াডে নেই আরেক উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাসও। ফলে একাদশে যুক্ত হবেন একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটার।সেই তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন তরুণ জাকের আলী অনিক। কারণ, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে মিডিল অর্ডারে নিজেকে বেশ কয়েকবার প্রমাণ করেছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। তাই সবঠিক থাকলে এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতেও অভিষেক হতে যাচ্ছে জাকের আলীর।অন্যদিকে ভিসা জটিলতা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং পেসার নাহিদ রানা। প্রথম ম্যাচে পেসাররা ভালো করলেও স্পিনাররা সেরাটা দিতে পারেননি। তাই মিরাজ অটোচয়েজ হলেও জায়গা হারাতে পারেন রিশাদ হোসেন।তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেতে পারেন নাসুম আহমেদ। কারণ, আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন ডান হাতি ব্যাটার রয়েছে। যেখানে দলকে বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারেন নাসুম।এই দুইটা জায়গায় ছাড়া একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। প্রথম ম্যাচে তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম ব্যর্থ হলেও, দ্বিতীয়ও সুযোগ পাবেন তিনি। এরপর সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাটিংয়ের জন্য অটোচয়েজ।আর প্রথম ম্যাচে নয় উইকেট শিকার করা তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম একাদশে থাকবেন তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।দ্বিতীয় ওয়ানেডেতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহঅধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
Next Post