বিশেষ প্রতিনিধি পোল্ট্রি খাদ্য ও বাচ্চা মুরগীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সিন্ডিকেটের হাত থেকে পোল্ট্রি খাতকে রক্ষা করতে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খামারি প্রতিনিধি, ফিডমিল প্রতিনিধি, হ্যাচারি মালিক প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় কমিটি বা পোল্ট্রি বোর্ড গঠন করার দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক পোল্ট্রি ডিলার খামারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলেন সংগঠনের নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন,’ ফিডমিলগুলোর মালিকরা বিগত আড়াই মাসের মধ্যে চারবার পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। এছাড়া ভ্যাকসিনসহ সকল ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৯.৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগীর উৎপাদন খরচ দাঁড়িয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা।
এতে এই খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষ এখন এক আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ বাজারের মূল্য নির্ধারণের সময় ডিম-ব্রয়লারের উৎপাদন খরচের প্রতি কোন লক্ষ্য রাখা হয় না। স্থানীয় আড়ৎদাররা চাহিদার ভিত্তিতে বাজার মূল্য নির্ধারণ করেন। দেশের কর্পোরেট কোম্পানিগুলো বাজার নিয়ন্ত্রণে কারসাজি করে চলেছে। ৪০ শতাংশ উৎপাদন তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রান্তিক খামারীরা তাদের কাছে অসহায়।তিনি আরও বলেন,’ বিভিন্ন উৎসবের ৪৫ দিন আগে থেকে মুরগীর বাচ্চা উৎপাদক কোম্পানিগুলো নিজেদের ইচ্ছা মত মূল্য নির্ধারণ করে প্রান্তিক খামারীদের জিম্মি করছে। বিগত দিনগুলোতে ৩২৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। পোল্ট্রিফিড কোম্পানিগুলো ২১ জুন ২০২১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ১০ বার খাদ্যের দাম বাড়িয়েছে। এদের দৌরাত্ম্যে ইতোমধ্যে ৪০ শতাংশ প্রান্তিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে।সংবাদ সম্মেলনে পোল্ট্রি খাদ্য ও বাচ্চা মুরগীর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠনটির নেতারা। ভোক্তা পর্যায়ে ডিম ও মুরগীর মূল্য নির্ধারণে সরকারের পক্ষ থেকে পোল্ট্রি বোর্ড গঠনসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।