আশুলিয়া প্রতিনিধি আশুলিয়ায় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার সভাপতি আবুল হাসনাত আজাদকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে বহনকারী রিকশাচালক মনিরকেও ছুরিঘাত করে দুর্বৃত্তরা।গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দক্ষিণ গাজিরচটের শেরআলী মার্কেট মোড়ে তার ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় দুই যুবক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন।আবুল হাসনাত আজাদ দক্ষিণ গাজিরচটের শেরআলী মার্কেট এলাকার জাতীয় পার্টির নেতা আবুল কালাম আজাদের ছেলে।এ ঘটনায় সিসিটিভি’র ফুটেজে দেখা যায়, রাত আড়াইটার দিকে হাসনাত রিকশা নিয়ে যাওয়ার পথে সাইড না দেওয়ায় এক যুবকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তিনি রিকশা থেকে নেমে এক যুবককে চড় দেন। পরে ওই যুবক ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। আহত অবস্থায় হাসনাত দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে ওই যুবক।আহত রিকশা চালক মনির হোসেন বলেন, আমি ওই নেতাকে তার ব্যক্তিগত অফিস থেকে রাতে রিকশায় তুলি। তিনি তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। আমরা শেরআলী মার্কেটে পৌঁছলে দুই যুবক রাস্তার মাঝখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল। তারা রিকশার গতিরোধ করে। এসময় হাসনাত ভাইয়ের সঙ্গে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। তাদের মধ্যে একজন কাকে যেন ফোন দেয়। কথা শেষ করেই তারা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। আমি বাধা দিলে আমাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।
আহতের ছোট ভাই মহসীন আজাদ বলেন, আমরা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তার সারাশরীরে ৭টি ছুরিকাঘাতের গভীর ক্ষত রয়েছে।মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী সবুর উদ্দিন জানান, হাসনাত রাতে রিকশায় চেপে ত্রীমোড় এলাকায় পৌঁছলে দুই যুবক তার গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমি এতটুকুই দেখেছি। পরে আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফুটেজ দেখে হামলাকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারী কুটুরিয়া এলাকার মনসুরের ছেলে বাবুল। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতের ঘাড়ের দুই পাশে, পেটের বাঁ পাশে ও পিঠেসহ প্রায় সাতটি স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।