বিশেষ প্রতিনিধি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করা যায় সেবিষয়ে মতামত নিতে ইতোমধ্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপের সিদ্ধান্ত আছে এ কমিশনের। তার আগেই সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের অভিজ্ঞতা জানতে চান তাঁরা। এ লক্ষ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও সাবেক কয়েকজন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসে। সেসময় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে বিচারপতি আব্দুর রউফ, ড. এটিএম শামসুল হুদা এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মোহাম্মদ আবু হাফিজ, মো. শাহনেওয়াজ, মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন অংশ নিয়েছিলেন।এবারে কাদের, কবে আমন্ত্রণ জানানো হবে- এ প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ পরিচালক (যুগ্মসচিব) এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের সংলাপের অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হবে। দ্রুতই তাঁদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে যাবে।তিনি জানান, সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের আগে আগামী ৯ জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি। কমিশনে নিবন্ধিত ১১৮টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্য থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি সংস্থার প্রতিনিধিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এর পরে ১২ জুন নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বসবে কমিশন।