ষ্টাফ রিপোর্টার : সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এই বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারার কারণে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এগুলো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।”
এ সময় তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা স্টার্টআপগুলোর প্রতি বিরূপ আচরণের বিষয়টিও তুলে ধরেন। “যেসব স্টার্টআপ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে অবস্থান নিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক আচরণ করা হয়েছে এবং বিনিয়োগ বন্ধ করা হয়েছে। এর নিন্দা জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা করা হবে,” বলেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সরকারের আওতাধীন সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করেছে। এই পদক্ষেপের কারণ হিসেবে টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
আরও বলেন, “আন্দোলনকালে ইন্টারনেট শাটডাউন নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তদন্তে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা কোনো সংস্থাপ্রধানের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ইন্টারনেটের অবাধ প্রবাহ মানবাধিকার নিশ্চিত করার অংশ। ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা অনৈতিক।”
নাহিদ ইসলাম আশ্বাস দেন, তদন্তের পর যদি আরো বিশদ মূল্যায়ন প্রয়োজন হয়, তা করা হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।