তিনি জানান, সরবরাহ পেলে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১৭২ টাকা দিয়ে কিনে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিন লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৫১৬ টাকায় কিনে ৫২৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এছাড়া দুই লিটারের বোতলজাত তেল ৩৪৪ টাকায় কিনে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। পাঁচ লিটার তেল ৮৩৫-৮৪০ টাকায় কিনে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৮২-১৮৫ টাকায়। কেনা পড়ছে ১৭৮ টাকা।
তিনি জানান, কম্পানিগুলো সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়িয়ে নিলেও বাজারে সরবরাহ বাড়ায়নি। রোজার আগে আরেক দফা দাম বাড়াতে এমন সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি শুরুর থেকে রাইস ব্রান তেলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানেও বাজারের মুদি দোকানে রাইস ব্রান তেল নেই। এক মাস আগেও রূপচাঁদা কম্পানির পাঁচ লিটারের বোতলজাত রাইস ব্রান তেল বিক্রি করেছি ১ হাজার ৫০ টাকা।
নয়াবাজারের মুদি ব্যবসায়ী তুহিন বলেন, কম্পানিগুলোর কাছে তেল যে নেই, তা বলা যাবে না। তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। তারা রোজার আগে আরেক দফা দাম বাড়াবে। ডিলারদেরও একই কথা বলে দেওয়া হয়েছে। তাই ডিলাররা দোকানে আসছে না। যেদিন আসছে, সেদিনই তেল পাচ্ছি। তবে চাহিদা ১৫ কার্টন দিলে পাচ্ছি ২-৩ কার্টন।
নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সালেকিন বলেন, বাজারে এক মাস ধরেই বোতলজাত তেলের সংকট। কয়েক দোকান ঘুরে তেল পাওয়া যাচ্ছে। ভেবেছিলাম বছরের শুরুতে এসব সংকট দূর হবে। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। আমরা ক্রেতারা সবসময় প্রতারিত হচ্ছি। আর আমাদের যারা জিম্মি করছে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। তাই সরকারকে চাপে ফেলে কম্পানিগুলো দাম বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে এখন যে তেল তারা মিল থেকে সরবরাহ করছে, তা আগের কম দামে কেনা।
এছাড়া সরকারের কাছে ব্যবসায়ীরা নীতি সহায়তাসহ সরকারিভাবে সয়াবিন তেলের মূল্য বাড়ালেও বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রেখেছে। বিক্রিও করছে বেশি মূল্যে, যা অযৌক্তিক। দেখা যাচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের নীতি সহায়তা দিলেও ভোক্তার অধিকার রক্ষায় কেউ ভূমিকা রাখছে না।’