বিশেষ প্রতিবেদক ঃ শৈরাচার সরকারের আমলে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার হয় অভয়নগরের সন্তান কলেজ ছাত্র এসএম সিফাত উল্লাহ। এ ব্যপারে জাতীয় গণমাধ্যম সহ বহু পত্র পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রচার হয়।২৬/০৪/২০২৪ইং তারিখ অকারণে এই হামলায় সিফাত উল্লার সারা শরীরে ধারালো অস্ত্র দ্বারা ৯টি জখম করা হয়,যার ৫৭ টি সেলাই দিয়ে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা হয়। অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিকেল সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল, অবশেষে আগারগাঁও অর্থপেডিক বিভাগ (পঙ্গু হাসপাতাল) দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক জীবনে আসলেও হাতের হাড় স্বাভাবিক জোড়া না লাগায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়।ভূক্তভোগীর পিতা সেদিন বহু কষ্টে গভীর রাতে অভয়নগর থানায় মামলা করেছিল যার নং-৩০।তারিরখ ২৬/০৪/২০২৪ইং উক্ত মামলার আসামীরা (১) নাজমুস সাকিব মজুমদার (২৬) ইখরাম হোসেন (২৫) মোঃ ইখলাস (২৮) মোঃ জহির (২৫) মোঃ শাহিন মোল্লা (২৫) কাজল (২৫) মোঃ জীবন আলী(২৫) মোঃ আব্দুল আল নোমান(২৬) মোঃ জিহাদ শেখ (২৪) হামলায় অস্ত্র সরবরাহকারী রিয়াজুল ইসলাম রাতুল মামলার অজ্ঞাত আসামীর তালিকায় থাকা সত্বেও তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মামলা হওয়া সত্বেও আসামীদের গ্রেফতার না করে আগাম জামিনের সুযোগ করে দেয় পুলিশ। অতঃপর আসামীরা জামিনে এসে বাদীর পরিবারকে হুমকি প্রদর্শন করে এসংক্রান্ত থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহণ না করে মামলার তদন্ত অফিসার এসআই মেহেদী হাসান বাদীর সাথে অসদাচরণ করে। অতঃপর বাদীর পরিবার জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসলেও বাদীর পিতাকে সারাক্ষণ হুমকি দেওয়া হয়।সুত্রে জানা যায়,মামলার তদন্ত অফিসার বিবাদীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলায় বাদীপক্ষ হয়রানির স্বীকার হয়। আদালতে গিয়ে দেখা যায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তার প্রভাবে বাদী পক্ষের আইনজীবী অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। সার্বিক সহযোগিতার জন্য বাদী যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের নিকট বারবার সাহায্য চেয়েও ফিরে আসে কোনোরুপ সহযোগিতা করা হয়নি।বাদী একজন গণমাধ্যমের কর্মি হওয়া সত্বেও আওয়ামীলীগের তকমা না থাকায় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে নিজ এলাকায় যেতে পারেননা বরং প্রতিনিয়ত হুমকির স্বীকার হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় এমপি সহ আওয়ামীলীগের সিনিয়র পর্যায়ে অবগত থাকলেও তারা সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে তৎপর হোন। সমাধানের চেষ্টা করা হলে এমপি জনাব বাবুল ফরাজী আশস্থ করলেও উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত অলিয়ার সরদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সন্ত্রাসীদল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাদীর আত্মীয় সজন সহ মামলার স্বাক্ষীদের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এহেন অবস্থায় মামলার হাল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না।গত ৫ই আগষ্টের শৈরাচার সরকারের পতন হওয়ায় আশার আলো জাগতে শুরু করেছে। এবার হয়তো আইনের শাসন চালু হবে।জানা যাচ্ছে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা খোলশ পাল্টে প্রতিবাদী ছাত্র জনতা সাজার চেষ্টা করছে এরা কখনোই সমাজের জন্য মঙ্গল জনক নয় সব সময় তারা সুযোগ সন্ধানী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী ভুক্তভোগী সিফাতউল্লার পিতা।