ষ্টাফ রিপোর্টার/- ‘আমি বহুবার পত্রিকায় পড়েছি শিবির সন্দেহে পিটিয়ে পুলিশে দেয়া হয়েছে। বিএনপির এতো বড় বড় আইনজীবী থাকতে আপনারা কেন কোনো আইনজীবী হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেননি যে শিবির হলেই তাকে মারার অধিকার সংবিধান দেয়নি। যদি কেউ কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনও করে থাকে, তবে সেটা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে হবে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সংবিধান অনুযায়ী প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। সংবিধান কাউকে বিনা বিচারে হত্যার বৈধতা দেয়নি।’ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন আসিফ নজরুল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, এটা স্পষ্ট বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার মারা গেছে দেশের পক্ষে কথা বলার জন্য এবং ভারতের বিপক্ষে কথা বলার জন্য। এটাতো তারা বলতে পারে না তাই একটি ট্যাগ লাগানো হয়। আবরারের মতো যাকে হত্যা করা হয়, বলা হয় জামায়াত-শিবির।
শনিবার আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদ এবং সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টির আমলে কোনো নির্যাতন হয়নি, সেটা আমি বলব না, তবে এত মাত্রায় কখনও হয়নি। বর্তমান সরকার এসব অনৈতিক কাজ করার জন্যই দুটি অবৈধ নির্বাচন করার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ নারী এবং শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, নিতাই চন্দ্র রায়, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, ভিন্নমত পোষণকারী কাউকে হত্যা করা, এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমাদের সংবিধান শিবির করলে তাকে মারধর ও ফোন ল্যাপটপ চেক করার অধিকার ছাত্রলীগকে দেয়া হয়নি।