শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরে নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা অন্তর্ভুক্তির দাবি

0

শিক্ষা প্রতিবেদকঃ জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার সব স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যে নিজ নিজ ধর্মের মূল ভিত্তি অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট নামের একটি সংগঠন।  সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ধর্মীয় কোর্স বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে বহু শিক্ষানীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা ছিল শাসকগোষ্ঠীর চিন্তা-চেতনাকে সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস। এসব নীতিতে দেশের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও দর্শনকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এর ফলে পাঠ্যক্রমে খেয়াল খুশিমতো পরিবর্তন, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় এবং অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের পথে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিক্ষাদর্শন, ভিশন, মিশন, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক করতে হবে।

সব স্তরের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচিতে জীবনমুখী দক্ষ্যতা এবং বিষয়ভিত্তিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের যথাযথ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রমে অবশ্যই বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি-তিনটি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলিয়া ও কওমি মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাদরাসার ইসলামী বিষয়ের সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং বাধ্যতামূলকভাবে ভাষা ও তথ্য-প্রযুক্তি দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, মাদরাসা শিক্ষায় কারিগরি শিক্ষা ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

মাদরাসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার ক্ষেত্রও তৈরি করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থায় সংকট মোকাবেলায় দ্রুত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন অথবা জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে। যেখানে শিক্ষানীতি, শিক্ষাক্রম, পাঠ্যক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিত্ব, দেশের শিল্প এবং শ্রমবাজারের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিত্ব এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ইউসুফ এম ইসলাম, সেন্টার ফর ইসলামিক থট অ্যান্ড স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুসা আল হাফিজ ও গবেষক আফরোজা বুলবুল।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.