এস এম বদরুল আলমঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জোন ৪/১ এর সাবেক অথরাইজড অফিসার শাহনাজ চন্দন ও পরিদর্শক প্রশান্ত এর বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগের ভয়ংকর আমলনামা। শাহনাজ চন্দন ও প্রশান্তর নিজ নেতৃত্বে কিছু রাজনৈতিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তি ও একাধিক রাজউকের কর্মকর্তার সমন্বয়ে গড়ে তুলেছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা ছাড়াও নকশা ও ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করে আসছে। এ ছাড়াও জাল নকশা দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। আর জালিয়াতির তালিকায় সাবেক ড্রাফম্যান আলমগীর কবির। তিনি বর্তমানে উত্তরা জোন ২/১ এ কর্মরত আছেন।ছাড়পত্র ও ভবন ভাঙার নোটিশে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে শাহানাজ চন্দন ও পরিদর্শক প্রশান্তসহ আরও কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শাহনাজ চন্দন সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় রাজধানীর বাড্ডা , ডিআইটি প্রোজেক্ট ,দক্ষিণ বাড্ডাসহআরও বেশকিছু এলাকা অবৈধ নকশায় তৈরী ভবনগুলোর কারণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।জানা যায় সাবেক অথরাইজড অফিসারসহ এ তালিকায় আছে পরিদর্শক প্রশ্ন্তসহ আরও অনেকে। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদের চাহিদামতো অর্থ পেলে মালিকদের সকল ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নির্মাণে আর কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়না। তবে চাহিদা মত অর্থ না পেলে সিন্ডিকেটেটি টাকা আদায়ে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন একাধিক নোটিশ, অথবা মোবাইল কোর্ট।প্রকৃতপক্ষে এসব নোটিশ টাকা আদায়ের পর অদৃশ্য হয়ে যায়, আর কোনাে ব্যবস্থা নেয়া হয়না। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন আংশিক ভেঙে ফেলা হলেও, টাকা আদায়ের পর দেয়া হয় জোড়াতালি।আবার ত্রিশ বছর আগের আটসিসি পিলার বিহীন ভবনের পাঁচতলা ও ছয়তলারও অনুমোদন মেলে শাহনাজ সেন্ডিকেটের কাছে যা ঝুঁকিপূর্ণ। শাহনাজের অপকর্মের দায়ে শাস্তি বদলি।রাজউক জোন ৪/১ এ দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করলে শাহনাজ সিন্ডিকেটের বিভিন্ন অপকর্ম বেরিয়ে আসে।এই সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় নির্মিত কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অবকাঠামোর ভবনের তালিকার মধ্যে: এক- মোঃ সেলিম আহম্মেদ গং হোল্ডিং নম্বর ট-৬৬/২মধ্য বাড্ডা ঢাকা – এ রাজউকের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকায় একটি ইমারত নির্মিত হচ্ছে।উক্ত নির্মাণ কাজের সমর্থনে ইমারত নির্মাণ আইন১৯৫২এর সর্বশেষ সংশোধনীসহ এর ৩ ধারা অনুযায়ী রাজউক অনুমোদিত নকশা বা অনুমোদন পত্র এবং ধারা (১০)২অনুযায়ী অথরাইজড অফিসার বা ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রদর্শনের জন্য সাইটে সংরক্ষণ করার বিধান থাকলেও তা মানছেন না ইমারত মালিক।এছাড়াও নকশার অনুমোদিক ভূমির মধ্যে ইমারত মালিকের ৭৩২ অযুতাংশরে রেকর্ডিও মালিক হলেও ভবন নির্মাণ করেছেন ৮৩২ অযুতাংশ।অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ করার সুয়োগ সৃষ্টি করেছেন রাজউক এর শাহনাজ প্রশান্ত সেন্ডকেট। নকশার বাইরে ৪০ ভাগ জমি ছাড়ার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি।২০২৩ সালের শেষের দিকে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে সাময়িক নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা দেখভাল করা র ঘাটতি রযেছে। তাদের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিযে ছেন বলে অভিযোগ রযেছে।মেরুল বাড্ডা ডিআইটি পোজেক্টে ১৬ নং সড়কে মোঃ গিয়াস উদ্দিণ ১ নং বাড়ির নির্মাণ কাজ করছেন। কাজের অনিয়ম থাকায় রাজউক অ্যাকশণ নোটিশ প্রদান করে কাজ বন্ধ করেন। সপ্তাহ না যেতেই আবার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে চূড়ান্ত নোটিশ দিলেওে কাজ ন্ধ ককতে ব্যর্থ হয় রাজউক।তাদের নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কাজ চলমান রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন এ সিন্ডিকেটটি। একই সড়কে ১২ নং বাড়ির নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও কাজের ব্যাপক অনিয়ম থাকলে স্থানীয়দের অভিযোগে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন রাজউক। এক বছর আগে নোটিশ দিয়ে চলে দেনদরবার । গোপনে কাজ সমাপ্ত করে ফেলেন ইমারত তৈরির সকল প্রক্রিয়া।