শহীদ পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ও আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে

0

মোঃ শাহজাহান: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, শহীদ পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ও আর্তনাদ শুনে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু যারা রক্তের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছে, তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।

 

- Advertisement -

শুক্রবার রাজধানীর শনির আখড়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বুলবুল বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্র জনতার আন্দোলনকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী ছাত্রদের আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয়নি। ৫ আগস্ট লক্ষণ সেনের মতো পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

 

তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জুলুম নির্যাতন চালিয়ে দেশকে বসবাসের অযোগ্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছিল।”

 

বুলবুল আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। “ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলছি, ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে এর দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”

 

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সবুর ফকির বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। “জুলুমতন্ত্রের অবসান হয়েছে, কিন্তু আওয়ামী গুন্ডা ও আত্মস্বীকৃত পুলিশ অফিসারদের বিচার করতে হবে।”

 

অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এখন দেশ বিনির্মাণে সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে।”

 

অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিচারণায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.