ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার হাদজা লাহবিব বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং মায়ানমারের সংঘাতময় জনগোষ্ঠীসহ বিশেষ করে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এই অর্থ দেওয়া হবে।
সোমবার (৩ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইইউর কমিশনার হাদজা লাহবিব এ কথা জানান।
ইইউ কমিশনার বলেন, এই সাহায্যের পরিমাণ গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হওয়ার পরও তহবিলের ক্রমবর্ধমান ব্যবধানের কারণে ক্যাম্পগুলোতে মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতির ঝুঁকি এড়াতে এটি এখনো যথেষ্ট নয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনাকে বাংলাদেশ সফরে আসতে দেখে আমরা খুবই আনন্দিত।জাতিসংঘ মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’
ড. ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন কামনা করেন। কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে উত্তরণের পথ প্রশস্ত এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা হ্রাস করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে কথা বলি এবং এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি আছে।নেপাল ও ভুটান উভয়ই আমাদের কাছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিক্রি করতে আগ্রহী।’
লাহবিব দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি একটি অসাধারণ সময়ে একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হচ্ছে, আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।’
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডার প্রতি ইইউর সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন। লাহবিব বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রেক্ষাপট, যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, আপনি যখন কিছু পরিবর্তন করতে চান তখন সর্বদা প্রতিরোধ থাকে। তাই অনেক কিছু করতে হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সম্ভবত এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’