সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিবেদনের প্রত্যেক রোগীর জন্য গড়ে ১০ মিনিটের পরামর্শ সময় নিশ্চিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—
সাংবিধানিক অধিকার ও নতুন আইন
>> প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা।
>> বিদ্যমান আইন, যেমন—‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন’, ‘নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন’ ইত্যাদি সংশোধনের সুপারিশ।
স্বাস্থ্য কমিশন ও হেলথ সার্ভিস
>>স্বাস্থ্যবিষয়ক নীতি প্রণয়নে সংসদ ও সরকারকে পরামর্শ দিতে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব।
সেবার মান ও প্রাপ্যতা
>> প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে (ক্ষেত্রবিশেষে ভর্তুকি মূল্যে) প্রদানের সুপারিশ।
>> উপজেলা পর্যায়ে সেকেন্ডারি স্বাস্থ্যসেবা জোরদার এবং জেলা হাসপাতালগুলোতে বিশেষায়িত (টারশিয়ারি স্তরের) চিকিৎসা চালুর প্রস্তাব।
>> দেশের ২০ শতাংশ অতি দরিদ্র নাগরিকের জন্য সব হাসপাতালে বিনা মূল্যে সেবা প্রদানের সুপারিশ।
>> সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগগুলো পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে পরিচালনার প্রস্তাব।
>> হাসপাতালে মানোন্নয়নের জন্য কার্যকরী মান উন্নয়ন পর্ষদ ও কন্টিনিউড এডুকেশন পদ্ধতির ব্যবস্থা করার সুপারিশ।
- Advertisement -