এতে নিজেদের রেকর্ডটা আরো সমৃদ্ধ করেছে বার্সেলোনা।আগেই সর্বোচ্চ ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সা এবার নামের পাশে ১৫ সংখ্যা বসাল। বার্সার রেকর্ড বাড়ানোর শিরোপা কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে প্রথম।
প্রথমার্ধে ৭৮ শতাংশ বল পজিশনই শুধু রাখেনি বার্সেলোনা, তিন মিনিটের মাথায় দুই গোল দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ৩৬ মিনিটে গাভীকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বার্সা। ১১ গজ দূরত্ব থেকে গোল করতে ভুল করেননি রবার্ট লেভানডফস্কি। ২ মিনিট পরে রাফিনিয়া হেডে ব্যবধান ৩-১ করেন। তার গোলের চেয়ে অবশ্য লম্বা থ্রু বলটা ছিল দেখার মতো। ডান দিকের প্রায় মাঝমাঠ থেকে মাপা এক লম্বা বল বাড়ান জুলেস কুন্দে, তাতে শুধু মাথাটা ছুঁয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
৯ মিনিটের যোগ করা সময়ে আরেকটি গোল করে রিয়ালকে বলা যায় ম্যাচ থেকেই ছিটকে দেয় বার্সেলোনা। যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে গোল করেন ডিফেন্ডার বালদে। বিরতি শেষে ৪-১ ব্যবধানটা কমানোর বিপরীতে আরেকটি গোল হজম করে রিয়াল। ৪৮ মিনিটে মার্ক কাসাদোর পাস ধরে অ্যান্তোনিও রুডিগার ও অঁরিলিয়ে চুয়ামেনিকে পরাস্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া।
ফিরতি মিনিটেই অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল। তবে ৪৯ মিনিটে রদ্রিগোর নেওয়া শট জালে জড়ায়নি। বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। বাঁ পোস্টে গেলে চলে যায় গোল লাইনের বাইরে। ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা রিয়ালের ম্যাচে ফেরাটা যেন তখনই শেষ হয়ে যায়।
তবে ম্যাচে ফেরার দারুণ এক মঞ্চ পেয়েছিল রিয়াল। ৫৬ মিনিটে যখন বক্সের বাইরে এসে এমবাপ্পেকে ফাউল করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক সিজনি। শুরুতে অবশ্য ফরাসি তারকাই ফাউল করেছে বলে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি গিল মানজানো। এর প্রতিবাদ করলে ভিনিও হলুদ কার্ড দেখেন। তবে ভিএআরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়ে যায়। এমবাপ্পে-ভিনির হলুদ কার্ড বাতিল করে রেফারি সিজনিকে লাল কার্ড দেখান। ওই ফাউলের ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক শটে ব্যবধান ৫-২ করেন রদ্রিগো।
বাকি ৩৪ মিনিটসহ যোগ করা সময়ে ১০ জনের বার্সেলোনাকে পেয়ে বসার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। গোলশোধ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠা কার্লো আনচেলত্তির দল ৯০ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল। এমবাপ্পের দারুণ ব্যাকহিলে অবশ্য যথাসময়ে বলকে সঠিক পথ দেখাতে পারেননি জুড বেলিংহাম। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু তার শটে বাধা হয়ে দাঁড়ান বদলি গোলরক্ষক ইনাকি পিনা। কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন। তার বীরত্বের পরেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন। এতে করে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই রিয়ালকে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছিল বার্সা।
- Advertisement -