রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে আওয়ামীপন্থি ২০ জন কাউন্সিলর বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জানা গেছে, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর রংপুর সিটি করপোরেশনের ২০ জন কাউন্সিলর এবং ৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর জনরোষের আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ সমর্থিত। ওয়াডগুলোর বাসিন্দারা জানান, জরুরি প্রয়োজনে তাদের কার্যালয়ে বা সিটি করপোরেশনে গিয়েও কাউন্সিলরদের খুঁজে পাচ্ছেন না।
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের বসবাস। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হামলার শিকার হয়ে মারা যান।
অন্য কাউন্সিলররা যারা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন: ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ার মির্জা, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশেক আলী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হোসেন চঞ্চল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুর রহমান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনর রশীদ, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেনসহ আরও কয়েকজন।
এ বিষয়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থক কাউন্সিলররা অফিসে আসছেন না এবং সিটি করপোরেশনে আসছেন না। তাদের অনুপস্থিতি নাগরিক সেবায় বাধা সৃষ্টি করছে।
২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবার রহমান মঞ্জু জানান, প্রায় ২০ জন কাউন্সিলরের অনুপস্থিতির কারণে নাগরিক সুবিধা প্রদান করা যাচ্ছে না।
রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণে নাগরিক সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে আইন অনুযায়ী কিছু করতে পারছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।