গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধায় যুবলীগ নেতাকে হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে রংপুর র্যাব-১৩। গ্রেফতারকৃতরা হলো- গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মারুফ মিয়া (২৫), মোজাম্মেল হক (৫০) এবং পূর্ব শিবরাম এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে জয়নাল মিয়া (৩৪)।এর মধ্যে মারুফ সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জয়নাল মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক সদস্য ও মোজাম্মেল হক জামায়াত কর্মী। মঙ্গলবার গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রাঘবচর থেকে জয়নাল মিয়া ও মোজাম্মেল মিয়া এবং রংপুর নগরীর কোতয়ালী থানা এলাকা থেকে মারুফকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুরে নগরীর হাজীরহাট উত্তম বারঘিয়া র্যাব-১৩ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মোঃ আরাফাত ইসলাম এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, গত ১২ নভেম্বর রাত ১১টায় যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (৪৫) মোটরসাইকেল যোগে সুন্দরগঞ্জ থানা বামনডাঙ্গা থেকে ছাইতনতলা আসার পথে শাখামারা ব্রীজের উপরে আসামীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আসামীরা লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো ছোড়া দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী জাহিদুলকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহিদুল মারা যায়। এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা হলে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। মঙ্গলবার র্যাবের আভিযানিক দল গাইবান্ধা ও রংপুরে অভিযানে চালিয়ে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মারুফসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।র্যাব-১৩ অধিনায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, জাহিদুলকে আসামিরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে। আসামিরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু নাশকতার সাথেও জড়িত ছিল। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।