বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ “পাঠাগার হোক গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় রংপুর বিভাগীয় পাঠাগার সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।শনিবার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে সাংগঠনিক সভার মধ্য দিয়ে ১ম পর্বের সভা অনুষ্ঠিত হয়।প্রথম পর্বে বেগম রোকেয়া স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলালের সভাপতিত্বে পাঠাগার সম্মেলনের সাংগঠনিক সভায় বক্তব্য রাখেন-সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক রহমান রায়হান, পাঠাগার সংগঠক জয়নাল আবেদীন, শেখ আবুল হোসেন সিলন, মীর রবি, আলহাজ্ব মোঃ মোনায়েম খান, মোঃ শামীম সরকার, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সমাজসেবা সম্পাদক পলাশ কুমার রায় ও পাঠাগার সুহৃদ শ্যামলী খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথ, কার্যকরী সদস্য শিবলী হাওলাদার ও স্বপ্নরাজ প্রমুখ।পরে উপস্থিত সকল পাঠাগারকে বই উপহার দিয়েছেন বইবন্ধু কাজী এমদাদুল হক খোকন, ডা. রাজেন্দ্র দেবনাথ, আমেরিকাপ্রবাসী, পাঠাগার প্রেমী শেখ সিরাজুল ইসলাম।পাঠাগার সম্মেলনের ২য় পর্বে “নদী ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় পাঠাগারের ভূমিকা”- শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি আবদুস ছাত্তার খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের ভূতপূর্ব অধ্যাপক প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম।এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পাঠাগারের সংকট উত্তরণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পাঠাগরকে রক্ষা করে গেলে পরিবেশ সুরক্ষার কাজও এগিয়ে যাবে। আমরা যদি সমাজের সচেতন চোখ বৃদ্ধি করতে চাই, তাহলে অবশ্যই বই পড়তে হবে, পাঠাগারে যেতে হবে। আশার বাতি জ্বালাতে আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। গতিশীলতা আনতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘পাঠাগার কোনো খণ্ডিত বিষয় নয়, আমাদের জীবনের পূর্ণাঙ্গ জায়গা এটি। প্রকৃতিকে স্বমহিমায় সবুজায়ভ করতে পাঠাগারের কর্মসূচি থাকা প্রয়োজন।সেমিনারের বক্তব্যে মূল প্রাবন্ধিক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘অতীতের নদী ও প্রাণ- প্রকৃতির সন্ধান পেতে যেমন বই তথা পাঠাগারমুখী হওয়া জরুরি তেমনি বর্তমান পরিস্থিতি বোঝার জন্যেও পাঠাগার জনগুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুকূল পৃথিবী দিতে নদী ও প্রাণ–প্রকৃতির পাঠ গ্রহণের জন্য পাঠাগারের অনন্য ভূমিকা আছে।এসময় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, মসিহ উদ্দিন শাকের, বিশিষ্ট চলচিত্র নির্মাতা, ড. শাশ্বত ভট্টাচার্য, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, তিস্তা ইউনিভার্সিটি,সংবাদ কর্মী সফি খান, বইবন্ধু কাজী এমদাদুল হক খোকন,নাট্যকার,নির্দেশক ও গণমাধ্যম কর্মী সরকার হায়দার।পরে সম্মেলনে পাঠাগার আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও জয়নাল আবেদিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট রংপুর বিভাগীয় সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।