যে কারণে রিজার্ভ ফোর্স কমানোর চিন্তা করছে ইসরায়েল

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি গত ২৮ অক্টোবর থেকে উপত্যকায় স্থল অভিযানও শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় স্থল হামলা শুরু করার আগে ওই সীমান্তে তিন লাখের বেশি রিজার্ভ সেনা জড়ো করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় এরই মধ্যে সেখানে ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিশু ও নারী। এছাড়াও ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আহত হয়েছে আরো ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের ঢালাও আক্রমণে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার বড় একটি অংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হামলা থেকে বাদ পড়েনি বাড়িঘর, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ বা গির্জার মতো স্থাপনা।
এদিকে, হামাসের সঙ্গে সংঘাতে উচ্চ অর্থনৈতিক ব্যয় সামলাতে রিজার্ভ ফোর্স বা সংরক্ষিত বাহিনী ছোট করার চিন্তা করছে তেল আবিব।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে সংরক্ষিত বাহিনীর সৈন্যদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ব্যয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।তেল আবিবের বেশকিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতি মাসে সংরক্ষিত বাহিনীর জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১৩০ কোটি ডলার।গত মাসের শেষ দিকে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় হামলার পেছনে প্রতিদিন স্থানীয় মুদ্রায় ১০০ কোটি শেকেল বা ২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের মতো খরচ হচ্ছে।আরো জানান, যুদ্ধের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। এটি সংশোধন করা হবে।এর আগে ইসরায়েল সরকার তিন লাখ ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্য সংগ্রহের অনুমোদন দেয়। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ সৈন্য নিয়োগ পেয়েছে।গাজা ও লেবাননের উত্তর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.