ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আক্রমণের প্রাথমিক দিনের পর থেকে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজটি ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী, তৃতীয় দেশগুলোর সংস্থাগুলো, যারা এটিকে (যুদ্ধ) সমর্থন করছে এবং সেই ভঙ্গুর সরবরাহ নেটওয়ার্কগুলোকে লক্ষ্য করবে, যার ওপর এটি (যুদ্ধ) নির্ভরশীল।’
যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপ এমন সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ও তাদের ইউরোপীয় সমর্থকদের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো নতুন ক্ষমতা ব্যবহার করে যুদ্ধকে সমর্থনকারী বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে কিরগিজস্তানভিত্তিক ওজেএসসি কেরেমেত ব্যাংকও রয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলেছেন, রাশিয়া শত শত জাহাজ নিয়ে একটি বড় ‘ছায়া নৌবহর’ পরিচালনা করছে, যাতে পশ্চিমাদেশগুলোর তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানো যায়।
এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন।
ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করছে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইউক্রেন কোনো অসম চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়, তবে তা পুতিনের বিজয়ের দাবি নিশ্চিত করবে এবং সমগ্র ইউরোপকে এক শক্তিশালী মস্কোর মুখোমুখি করে দেবে।
সূত্র : এএফপি
- Advertisement -