মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরি রুটের শরীয়তপুরের জাজিরার কাছে শরীয়তপুর টার্নিং কাছে রাত ৩ টার দিকে যাত্রীবাহী ফেরি বেগম রোকেয়া ও বেগম সুফিয়া কামালের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রচন্ড বেগের এই সংঘর্ষে দুই ফেরিরই আঘাত লাগা অংশ বাকা হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অল্পের জন্য বহু যাত্রীর প্রাণ রক্ষা। এতে সুফিয়া কামালের এক গাড়ি চালক নিহত এবং দুই ফেরিররই অন্তত ১০ জন হয়েছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে রোকেয়ার ৫ কার। এক চালক পদ্মায় ছিটকে পরে নিখোঁজ রয়েছে। পরে দুই ফেরিই গন্তব্যের দুই পারের ঘাটে নোঙ্গর করতে সমর্থ হয়েছে। নিহত পিকাপ চালক মো খোকন (৪০) ঝালকাঠির বাসিন্দা। লৌহজং থানার এ এস আই শাখাওয়াত হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। তদন্ত চলছে। লাশ তিন নাম্বার ফেরি ঘাটে রয়েছে।
ফেরি বেগম রোকেয়ার মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস জানান, তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। ফেরি চালাচ্ছিল সেকেন্ড মাস্টার। সুফিয়া কামাল যাচ্ছিল উজানে আর বেগম রোকেয়া আসছিল ভাটিতে। সুফিয়া কামালকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল কিন্তু ফেরিটি অপেক্ষা করেনি। বেগম রোকেয়া ভাটিতে নামার সময় রাতে ইঞ্জিন কমিয়ে রাখলেও পানির টানে চলে আসলে এই ঘটনা ঘটে।ফেরি সুফিয়া কামালের মাস্টার মোহাম্মদ হাসান জানান, ‘‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ফেরি চালাচ্ছিল সেকেন্ড মাস্টার। তিনি জানান শরিয়তপুর টার্নিং পয়েন্টে প্রচন্ড রাতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন এই ঘটনায় ফেরি সুফিয়া কামালে থাকা এক গাড়ি চালক নিহত হন। ফেরির মাস্টার দাবী করেন প্রচন্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তবে যাত্রীরা দাবী করেছে চালকের অবহেলার কারণেই এই দুর্ঘটনা।এই রুটে ছয় ফেরি চলাচল করছে। দূর্ঘটনা কবলিত ফেরিতে দুটিতে অর্ধ শতাধিক যান এবং দুইতাধিক যাত্রী ছিল।