মাইগ্রেন থেকে কিভাবে বাঁচবেন?

0
অনলাইন ডেস্কঃ মাথাব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলা বোকামি। কখনো কখনো এই প্রবাদবাক্যটিকেও ভূল মনে হতে পারে আপনার কাছে। বিশেষ করে যখন তীব্র মাথাব্যাথা আপনাকে কাব করে ফেলে, তখন। আক্ষরিক অর্থেই তখন নিজের মাথা কেটে ফেলতে পারে।

- Advertisement -

মাথাব্যাথার অনেক কারণ ও অনেক ধরণ আছে। তবে সবচেয়ে বেশি যে মাথ্যাব্যথাটা মানুষকে কাবু করে ফেলে, সেটা হলো মাইগ্রেনের ব্যথ্যা। এটা মানুষের একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। মাথাব্যাটা দেখা দেয় পুরো শাথার অর্ধেকটা জুড়ে।

মাথা ভার লাগে, মাথার ভেতর দপদপ করে—এই অবস্থায় কোনো কাজ এমনকী ঘুমও অসম্ভব। মাইগ্রেনের ব্যাথার সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরি জানতে পারেননি। কিন্তু কিছু কারণ বিজ্ঞানীদের জানা আছে।মাইগ্রেনের ব্যাথার কারণ
জিনগত প্রভাব: পরিবারে কারও মাইগ্রেনের ইতিহাস থাকে, তবে আপনিও এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।

নিউরোলজিক্যাল কার্যকলাপ: মস্তিষ্কের রাসায়নিক কার্যকলাপে ভারসাম্যহীনতা মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে, সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে মাইগ্রেনের সম্ভাবনা বাড়ে।পরিবেশগত কারণ: আলো, শব্দ, এবং গন্ধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা অনেক সময় মাইগ্রেনের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করতে পারে। অতিরিক্ত সূর্যের আলো, তীব্র গন্ধ বা জোরালো শব্দে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হতে পারে।

খাবার ও পানীয়: কফি, চকলেট, অ্যালকোহল, প্রসেসড খাবার এবং অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবারও মাইগ্রেনের ট্রিগার হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এ কারণেও মাইগ্রেনের ব্যাথা হতে পারে।

হরমোন পরিবর্তন: নারিদের প্রিয়ডের সময় হরমোনের তারতম্য ঘটে, থখন মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে। জীবনযাত্রা ও মানসিক চাপ: অনিদ্রা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা মাইগ্রেনের ব্যথার একটি বড় কারণ হতে পারে।

মাইগ্রেন থেকে বাঁচার উপায়
নিয়মিত ঘুম: পর্যাপ্ত ও নিয়মিত ঘুম মাইগ্রেনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠার অভ্যাস করুন।

সুষম খাদ্য গ্রহণ: খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখুন এবং খাবারের সময়সূচী মেনে চলুন। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যাথ্যা শুরু হতে পারে।, তাই সময়মতো খাওয়া জরুরি।

স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ: স্ট্রেস বা মানসিক মাইগ্রেনের অন্যতম উদ্দীপক। নিয়মিত যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমানো যায়।

ট্রিগার চিহ্নিত করা: মাইগ্রেনের কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো এড়িয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে এমন খাবার বা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। এগুলো মাইগ্রেন প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ওষুধ: মাইগ্রেনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করলে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সূত্র: ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্র

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.