মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পরকিয়ায় বাঁধা দেয়ায় শিমু বেগম (৩২) নামে গৃহবধূকে হত্যা করে টয়লেটের চালার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আনোয়ার পারভেজ বাদি হয়ে ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম (৪০) কে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। থানা পুলিশ শহিদুল ইসলাম ও তার পিতা সামসের হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছেন। আনোয়ার পারভেজ বিষয়টি শনিবার (১৮ জুন) গণমাধ্যম কর্মিদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি উপজেলার শাখারীকাঠি গ্রামের মোশারেফ হাওলাদারের ছেলে।মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের সামসের হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে শিমুর বিয়ে হয়েছেলো। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে একটি কন্যা ও পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। প্রবাসি শহিদুল সম্প্রতি দেশে আসেন। শহিদুল-শিমু পরিবার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের আবুল খা এর মালকানাধীন বাসায় ভাড়া থাকতো। শহিদুল দেশে আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে স্ত্রী শিমুর চেহারা নিয়ে বিদ্রুপ করে ও ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতে বলার পাশাপাশি ও মারধর করে। একই সাথে শহিদুল মোবাইলে বিভিন্ন নারীদের সাথে প্রেমালাপ করে। শিমু বিষটি তার শ্বশুর-শাশুড়ী ও তাদের বাড়ির লোকজনের কাছে জানালে তারাও তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যেতে বলেন।
এ বিষয় নিয়ে শিমুকে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন গত ২৩ মে প্রথম দফায় নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। শিমু চলে না যাওয়ায় পরের দিন ২৪ মে রাতে পরিকল্পিত ভাবে শিমুকে হত্যা করে ওই ভাড়া বাসার টয়লেটের চালার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তারা শিমু আত্মহত্যা করেছে মর্মে চিৎকার করে ও ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে স্ব-প্রনোদিত হয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পরের দিন সকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেন। এটা হত্যার ঘটনা এমন অভিযোগ উঠলো পুলিশ দায়সারা আত্মহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা নেয় বলে নিহতের ভাই আনায়ার পারভেজ মামলায় উল্লেখ্য করেন। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ্য করেন, তার বোনের পা টয়লেটের ফ্লোরে দাড়ানো ছিলো। পুলিশ আসামী পক্ষদ্বারা প্রভাবিত হয়ে সুরতহাল রিপোর্টেও তথ্য গোপন করেছে।মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নতুন দায়ের করা মামলাটি আগের মামলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।