মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে গত ৫ আগস্ট শহীদ মামুন খন্দকারের (৪৩) লাশ ছয় মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১ টার দিকে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া খন্দকার বাড়ি পারিবারিক কবর থেকে এ লাশ তোলা হয়। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
- Advertisement -
মামুন খন্দকার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া গ্রামের মৃত মজিবর খন্দকারের ছেলে। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। ৫ মাস ২৬ দিন পর মরদেহ তোলা হয়।
মামুনের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের লোকজনের হাতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
Related Posts
মামুন নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী সাথী খন্দকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালত মামুন খন্দকারের মরদেহ তোলার আদেশ দেন।
নিহতের ভাই মাহমুদুল হাসান খন্দকার বলেন, টাকা উপার্জন করার জন্য পরিবার নিয়ে ঢাকা গিয়েছিলেন। ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আশুলিয়া বাইপাইল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।
নিহত মামুনের ছোট মেয়ে তাওহিদা বলেন, বাবা ৪ আগস্ট বাসা থেকে বের হয় তারপর আর বাসায় ফেরেনি। আন্দোলনের সময় আমাদের বাসায় এসে আওয়ামী লীগের লোকজন হুমকি দিয়ে যায়। পরে আমরা শুনতে পাই বাবা গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। বাবাকে যারা মেরেছেন তাদের আমি বিচার চাই।
মঠবাড়িয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাইসুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে নিহত মামুন খন্দকারের মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।